বালুচর নাশকতা

নদীতে নবীন চর–
ন্যূনতম নাশকতা যদি থেকে থাকে তার বিভিন্ন বালুকায়
হে নদী তবে কি ব্যর্থতা ভেঙে ফেলে আরো জলদীপ্ত হবে না?

রঙিন পাল খুলে যে সব সাম্পান
উজানে অনুকূলে নেমে যেতো লক্ষীর বাণিজ্য বেসাতি
তারা কি যাবে না আর! বদর বদর ধ্বনি কাঁপবে না নাও,
মৎস্যকন্যা আঁচল উড়িয়ে তবে কোথায় সাজাবে তার
সান্ধ ভ্রমন!

জলমাতৃকা, জলহীন মেলে আছো পরিত্যক্ত গনিকা-শরীর
স্তনে শিশুর প্রার্থনা ফিরে যায়, ফিরে যায়– হে নারী, জল
ভরন্ত যৌবনে একাকি শয্যায় পোড়া জলের বৈশাখি
কোথায় গ্রাস, তৃষ্ণায় কাঁপা সেই অতৃপ্ত অধর!

একখানা বালুময় চর–
তাতেই এতোটা ক্লান্তি, এতোটা ব্যর্থ অধিবাস
করুন খঞ্জ-র মতো এতোটা কাতর কৃপন পথচলা!

মেঘে মন্দিরায় বেজে ওঠো জল, নদীর অতল
দুলে ওঠো ক্ষুব্ধ ফনায় চিত্রিত হোক ঘাতকী বিনাশী পদ্ম,
জলের উল্লাসে ভেঙে যাক জনপদ, রাত্রির গৃহস্থালি
তবু খরস্রোতা হও–

গমনে শব্দিত হোক বুকের বিজন
দাঁতের উৎসাহে নাচুক উদ্যত গ্রাস,
হে নদী, হে জল হত্যার নোখে মেখে নাও বালুচর নাশকতার
তুষার মৃত্যু ।

০৫.০৩.৭৬ (মধ্যাহ্ন) কাঁঠালবাগান ঢাকা (কাব্যগ্রন্থঃ রুদ্রসমগ্র, প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারী ২০১৮, প্রকাশকঃ মাওলা ব্রাদার্স।)

মন্তব্য করুন