মহাদেব সাহা (জন্ম: ৫ আগস্ট ১৯৪৪) বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তীকালের একজন অন্যতম প্রধান কবি। তিনি তার সাহিত্যিক অবদান দিয়ে সব ধরনের পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। তিনি রোম্যান্টিক গীতিকবিতার জন্য জনপ্রিয়। তার কবিতা অপরিশ্রুত আবেগের ঘনীভূত প্রকাশে তীব্র।

মহাদেব সাহা সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন শিক্ষক এবং মা ছিলেন গৃহিণী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

মহাদেব সাহা ১৯৬০-এর দশকে সাহিত্যচর্চায় আত্মপ্রকাশ করেন। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ “মানব এসেছি” ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি “চাই বিষ অমরতা”, “কী সুন্দর অন্ধ”, “তোমার পায়ের শব্দ”, “ধুলোমাটির মানুষ”, “ফুল কৈ শুধু অস্ত্রের উল্লাস”, “লাজুক লিরিক”, “আমি ছিন্নভিন্ন”, “মানুষ বড়ো ক্রন্দন জানে না”সহ আরও বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন। তার কবিতায় প্রেম, প্রকৃতি, মানবতা, সমাজ, রাজনীতি, ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিফলন ঘটেছে।

মহাদেব সাহা তার কাব্য প্রতিভার জন্য অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেছেন। তিনি ১৯৮৩ সালে কবিতায় বাংলা একাডেমী পুরস্কার এবং ২০০১ সালে একুশে পদক লাভ করেন।

মহাদেব সাহার কবিতার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো তার সরল ও প্রাঞ্জল ভাষা, অপরিশ্রুত আবেগ, ও তীব্র উপলব্ধি। তার কবিতা সাধারণ মানুষের হৃদয়ে সহজেই প্রবেশ করে। তার কবিতায় প্রেম, প্রকৃতি, মানবতা, সমাজ, রাজনীতি, ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিফলন ঘটেছে।

মহাদেব সাহা একজন সফল কবি হিসেবে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদান রেখেছেন। তার কবিতা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সম্পদ।