হে মহাজীবন

170
0

হে মহাজীবন, আর এ কাব্য নয়
এবার কঠিন, কঠোর গদ্যে আনো,
পদ-লালিত্য-ঝঙ্কার মুছে যাক
গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো!
প্রয়োজন নেই, কবিতার স্নিগ্ধতা-
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি,
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী-গদ্যময়ঃ
পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝল্‌সানো রুটি।।

সুকান্ত ভট্টাচার্য
লিখেছেন

সুকান্ত ভট্টাচার্য

সুকান্ত ভট্টাচার্য ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি কবি। তিনি ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কলকাতার কালীঘাটে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার অন্তর্গত ঊনশিয়া গ্রামে।

সুকান্ত মাত্র ১১ বছর বয়সে কবিতা লেখা শুরু করেন। তার প্রথম প্রকাশিত কবিতা "আমার গান" ১৯৩৭ সালের ২৭ অক্টোবর "কিশোর ভারতী" পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ "ছাড়পত্র" ১৯৪৭ সালে প্রকাশিত হয়।

সুকান্তের কবিতাগুলি সাধারণ মানুষের জীবন ও দুঃখ-কষ্টের কথা বলে। তিনি শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। তার কবিতায় মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান উঠে এসেছে।

সুকান্ত ছিলেন একজন প্রগতিশীল কবি। তিনি মার্কসবাদী দর্শনের অনুসারী ছিলেন। তার কবিতায় শ্রমিক-কৃষকের সংগ্রাম, সামাজিক বৈষম্য ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুর উঠে এসেছে।

সুকান্ত ভট্টাচার্য মাত্র ২০ বছর বয়সে ১৯৪৭ সালের ১৩ মে টি.বি. রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যু বাংলা সাহিত্যের এক অপূরণীয় ক্ষতি।

সুকান্ত ভট্টাচার্যের উল্লেখযোগ্য কবিতার মধ্যে রয়েছে:

* ছাড়পত্র
* পূর্বাভাস
* ঘুম নেই
* আমি একদিন তোমার নাম বলব
* কবিতা
* অগ্নিবীণা
* ময়না
* হে নমস্কার
* হে মাটি

সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতাগুলি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। তার কবিতাগুলি বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ।

মন্তব্য করুন