সমগ্র কোথায় তুমি? আর্তস্বরে ডাকি যতবার
দূর থেকে সাড়া দেয় অতীন্দ্রিয় কে এক আঁধার!
খণ্ডের যোগফল থেকে বহুদূরে সমগ্রের বাড়ি
জেনেও খণ্ডাংশগুলো জোড়া দিই যতটুকু পারি।
প্রতিটি গন্তব্য তার কিছু চিহ্ন এঁকে রাখে পথের ওপর,
হিজিবিজি সেইসব জটিল জ্যামিতি থেকে সমগ্রের ঘর
খুঁজতে গিয়ে মনে হলো আমি এক সদ্যোজাত শিশুর মতন
মা বলতে যে বোঝে শুধু উষ্ণ দুই গোলাকার স্তন।
কখনোবা চোখে মেখে বিপুল বিস্ময়
তাকায় মায়ের মুখে, সে-মুহূর্তে তাকে মনে হয়
প্রকৃত সন্তের মতো, ধ্যানমগ্ন গিলে খায় সোহাগের ধ্বনি,
প্রবল বিশ্বাসে তার ক্ষুদ্র চোখ বলে ওঠে: এইতো মা-মণি!
ক্রমে ক্রমে চেনে তাকে সান্নিধ্যের গাঢ় উষ্ণতায়,
অবশেষে উন্মোচিত নিজস্ব নারীর মতো বাবার শয্যায়:
মূলত রমণী তিনি–পরিমেয় উরু-বুক-জরায়ু-জঘনে
তবুও জননী থাকে চিরদিন দেবীতুল্য সন্তানের মনে।
সমগ্র কোথায় তুমি? ডাকতে ডাকতে বেলা চলে যায়,
এমনকি তত্ত্বযোগী সাধুবাবা ঘুরেফিরে হাজার দরগায়
কখনো পাননি কিছু, বললেন: আজীবন সমগ্রকে খুঁজে
আমিও করেছি জড়ো নানা-রঙা চতুর্ভুজ, মিশিয়েছি গোলকে-ত্রিভুজে
(বলেই মেললেন তিনি বহুবর্ণ তালি-মারা গায়ের গিলাপ)
আমারও অন্বিষ্ট ছিলো ভবের দারুণ শীতে ভবানীর তাপ,
তবু দ্যাখ্! এ-ও শুধু তালির যোগফল, স্বরচিত মলিন ময়ূর!
পেখম মেলতে হলে যেতে হবে আরো বহুদুর….