একাডেমিক সার্টিফিকেট

132
0

মনের অগোচরে জমতে থাকা
একপ্রকার ক্ষোভ থেকেই,
সময় এবং জীবনের প্রতিটি দিক
আমার বিরোদ্ধে দেখেই,
সার্টিফিকেট-টা ছিঁড়ে ফেললাম।

পুরাতন সব হিসেবের খাতা মেললাম,
দেখলাম, ভাবলাম, কাঁদলাম
যদিও একদল স্বার্থবাদী লোক বলে
কাঁদা ছেলেদের স্বভাব নয়,
আমাদের নাকি করতে হবে
এই পুরো দুনিয়া জয়।

আসলেই এখন আমার ঠিক
কান্না করার সময় নয়!
হয়তো এটাই শেষ,
এরপর আমি আর কান্না করবোনা
বেঁচে বেচেঁ আমি আর মরবোনা।

শিক্ষা ব্যবস্থা, আর চাকরির অবস্থা!
যেন কোন সরলকোণের ভিন্ন দুটি রশ্মি!

ভালো চাকরির আশায়,
প্রচুর টাকা কামানোর নেশায়
এই শিক্ষাব্যবস্থায় নিষ্পেষিত হয়ে,
সকাল থেকে সন্ধ্যা করে কষ্ট
জীবনের অর্ধেক সময় করেছি নষ্ট!

একটা সনদ কখনো কারো
সঠিক জ্ঞান প্রদর্শন করতে পারেনা।
এই সনদ তৈরিতে পড়ে থাকায়,
আমাদের সত্যিকার জ্ঞান বাড়েনা।

অনেকে হয়তো আমার বিরোধিতা করছেন,
আমার বিরুদ্ধে অনেক কথাই বলছেন
আমি চাইনা তাদের তেমন কিছু বলতে
আসলে পারছিনা আর এই বেকারভাবে চলতে।

আখিরুল ইল্লিন
লিখেছেন

আখিরুল ইল্লিন

জন্ম টাঙ্গাইলের সখিপুরে। বেড়ে উঠাও সেখানেই। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো। পড়াশোনার পাশাপাশি দুর্দান্ত এ বালক বিভিন্ন ধরনের ভলান্টিয়ারিং কার্যক্রমের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কবিতা লেখা তার শখ, পাশাপাশি গল্পও লেখে সে। গল্প, কবিতা কিংবা সাহিত্যের প্রতি গভীর এক ভালোবাসা থেকেই সে প্রতিষ্ঠা করে 'সাহিত্য রস' নামে এক সাহিত্য সংগঠন।

মন্তব্য করুন