আত্মিক লড়াই

100
0

রাত ১২:৫৪।বাইরে বৃষ্টি পড়ছে।চারিদিক বেশ থমথমে।আর আবহাওয়াও খানিকটা ঠান্ডা,মানে কাঁথা মুরি দিয়ে ঘুমোনোর উপযুক্ত।যাদের অন্ধকারে ভয় করে তারা হয়তো এমন পরিস্থিতিতে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে ঘুমোনোর চেষ্টা করবে কিন্তু বিভৎস কোনো কিছুর কল্পনা তাদের মনকে বেশ ভালো করেই জাঁপটে ধরবে।এরপর খোলা চোখে চারদিকে তাকাতে ভয় করলেও তারা বড় বড় চোখ করে সেই অন্ধকারেই চারপাশটা ভালো করে দেখবে কেবল তাদের কল্পনাকে সত্যিকারের কল্পনা হিসেবে মানতে।আর আমার মতে ঘুমপ্রিয় মানুষগুলো ঠিক এমন পরিবেশেরই অপেক্ষা করে।তনিমাও একটা ঘুমপ্রিয় মানুষ।আর সে এমন সময়েরই অপেক্ষা করে।অন্য সেসব রাতে এমন বৃষ্টি হলে তার খুব ঘুম হলেও আজ তার চোখে ঘুমের ছিটেফোটাও নেই।আজ সেও যেনো অন্ধকারে ভীতু হয়ে উঠেছে।একটা ভয়ংকর দৃশ্য তার মন,মস্তিষ্ক সব কিছুকে যেনো দখল করে নিয়েছে।কীভাবে একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে এতোটা নৃশংসভাবে হত্যা করতে পারে?এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দরজায় আওয়াজ হলো।কে এসেছে?সে একটা বাসায় একাই থাকে।৩মাস হলো সে এই বাসাটাতে উঠেছে।আর এখানকার কারো সাথে তার সেভাবে সখ্যতাও গড়ে ওঠেনি।কে আসতে পারে এতো রাতে।সে ভয়ে ভয়ে বলে ওঠে,”কে,,,,কে এসেছেন?”দরজার ওপার থেকে আওয়াজ আসে,”আপা আমি মিনা,এই ফ্ল্যাটের তিনতালায় থাকি।ঐযে ছাদে কয়েকবার আমার সাথে আপনার দেখা হয়েছে।”

তনিমা বলে ওঠে,”ওহ আপা আপনি!” একথা বলে সে ভয়ে ভয়ে দরজা খুলে।দরজা খুলে মিনাকে দেখে সে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।”কী হইছে আপা বলেনতো।আপনি গেইট দিয়ে ঢোকার সময় বারান্দা থেকে আপনাকে লক্ষ করলাম,মনে হলো আপনার কিছু হয়েছে।শরীর টরীর খারাপ নাকি আপনার।এ কথা বলতেই তনিমা মিনাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলো।”আরে আপনি কাঁদছেন কেনো?কিছু হয়েছে?আমায় নিশ্চিন্তে বলতে পারেন।”

“না তেমন কিছুনা।কয়েকদিন হলো বাড়ির কথা খুব মনে পড়ছে।তাই আরকি…..”

“ওহ এই ব্যাপার।তো যান না কয়েকদিন গিয়ে ঘুরে আসুন বাড়ি থেকে।শোনেন নিজে সময় না করে নিলে না সময় হবেও না।কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে বরং বাড়ি যান।”

ইষৎ হেসে,”তা কি আর চেষ্টা করিনি।কিন্তু স্কুল কতৃপক্ষ এই মুহূর্তে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো শিক্ষককেই ছুটি দিতে রাজি নয়।তাছাড়া আমারও বিবেকে বাধছে আর তো মাত্র দেড় দুই মাস বাকি।এই সময়টাতে আসলে ছুটি নেওয়াটাও দায়িত্বহীনতার মধ্যে পড়ে।”

“আচ্ছা বুঝতে পারছি আপনার বিষয়টা।একটা কথা বলি।”

“জী আপা বলেন”

“আপনি যে বাসায় একা থাকেন আপনার ভয় করেনা?”

“ভয়!কীসের ভয়?না একদমই ভয় করেনা।”

“বাহ আপনার তো বেশ সাহস আছে দেখছি।আমি হলে ভয়ে মরেই যেতাম।”

দুজনেই হো হো করে হেসে ওঠে।

হঠাৎ তনিমা বলে ওঠে,” চা খাবেন?”

“এত রাতে চা?”

“আরে এত রাতে যখন বাসায় এসেইছেন চলেন আজকে আমরা গল্প করি।তাছাড়া কালকে তো শুক্রবার।”

“আইডিয়াটা খারাপ না।তবে আপনি না,আমি চা বানাবো।আপনি কিন্তু কিছু বলতে পারবেন না।আর ভরসা রাখতে পারেন আমি চা ভালোই বানাই।”

“আচ্ছা ঠিক আছে আপনার যা ভালো লাগে করুন।”

মিনা চা বানাতে চলে গেলো।আর সাথে সাথে তনিমার মুখটাও ফ্যাকাশে হয়ে গেলো।চারদিক থেকে কেমন একটা ভয়ংকর অনুভুতি তাকে জাঁপটে ধরেছে।সে ঘামছে।হঠাৎ একটা কুকুরের প্রচন্ড ডাক শোনা যাচ্ছে।তনিমা বারান্দার দিকে গেলো।বারান্দায় গিয়ে দাড়াতেই সে দেখতে পেলো মেইন গেইটে দারোয়ান নেই তার ওপর গেইটটাও খোলা আর ভেতরে একটা কুকুরও ঢুকে পড়েছে।সেটাই এভাবে ডাকছে।ব্যপারটা বুঝে ওঠার আগেই তনিমার ঘরের ভেতর কেমন যেন একটা আওয়াজ হলো।সে ভাবলো হয়তো মিনার চা বানানো শেষ।বারান্দা থেকে ঘরে ঢুকতেই সে কাউকে তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো।কিন্তু এটা তো মিনা নয়।আরেকটু এগোতেই তনিমা যা দেখলো তাতে তার আর কিছু বুঝতে বাকি রইলোনা।তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে সেই খুনী যাকে সে আজকে নৃশংসভাবে একজনকে হত্যা করতে দেখেছে।সেই খুনী তনিমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারতে যাবে ঠিক তখনই তনিমা ভীষণ জোরে চিৎকার করে ওঠে।এরপর তার ঘুম ভেঙে যায় আর সে বুঝতে পারে সবটা ছিলো তার স্বপ্ন ।রাস্তায় একজনকে খুন হতে দেখা থেকে শুরু করে সবকিছু।সে এবারে হাঁপ ছেড়ে বাঁচে।ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে ৩:৩৫ বাজছে।তার এলার্ম বাজতে তারমানে আরও ঘন্টাখানেক বাকি।সে আবার ঘুমিয়ে পড়লো।

ভোর ৪:৩০ এ এলার্মের শব্দে তার ঘুম ভাঙলো।তনিমা একটা স্কুলের বাংলা বিষয়ের শিক্ষিকা।তিন মাস হলো সে এই পেশায় আছে।বিকাল ৪:৩০ টা পর্যন্ত তাকে সেখানেই থাকতে হয়।এরপর বিকাল ৫:০০ টা থেকে শুরু করে রাত ৮:০০ টা পর্যন্ত সে টিউশনি করায়।এরপর সে বাসে করে বাসায় ফেরে।সে মূলত স্কুলটার আশেপাশেই টিউশনি করায়।সেই এলাকা থেকে বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত ১০ মিনিটের রাস্তা।আর বেশিরভাগ দিনই বাসে করে আসতে তাকে লম্বা জ্যামের মুখোমুখি হতে হয়।আজও সেরকমই হলো।সে যখন বাস থেকে নামলো তখন ৯:৩০ বেজেও গেছে।যদিও বাসে করে যাতায়াতে রাস্তা মাত্র ৪০ মিনিটের কিন্ত জ্যামের কারণে এতটা দেরি হলো।বাস স্ট্যান্ড থেকে তার বাসায় যেতে ৭-৮ মিনিটের মতো লাগে।সে যে এলাকাতে থাকে তা ইতোমধ্যে নিস্তব্ধ হয়ে গেছে।মানুষের আনাগোনা নেই বললেই চলে।আবার মেঘও মাঝে মাঝে গর্জন করে বৃষ্টির আগাম বার্তা পাঠাচ্ছে।এই শুরু হলো বলে।সে দ্রুত পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছে।সে লক্ষ করলো রাস্তার পাশে চায়ের দোকানটার সামনে দুটো ছেলে খুব ঝগড়া করছে।বয়স হবে ২১, ২২এর মতো।কিন্তু তনিমা সেখানে আর খেয়াল করলোনা কেননা আজ অনেকটা দেরি হয়ে গেছে।আর তাদের বাড়ির দারোয়ানটারও না খেয়ে পড়ে কোনো কাজ নেই।১০:০০ টায় মেইন গেইট বন্ধ করার কথা থাকলেও লোকটা প্রায়ই ১০:০০ টার আগেই গেইট বন্ধ করে দেয়।একদিন তো এমনও হয়েছে যে রাত সাড়ে আটটার আগেই লোকটা গেইট বন্ধ করে দিয়েছে।যাক আজকে তার ভাগ্য ভালো কেননা আজ দারোয়ানটা গেইট”কি ব্যাপার চাচা আজকে যে এখনো গেইট বন্ধ করেননি?”

“এরকম বলতাছেন কেন আপা?আমি কী সবসময় গেইট আগে আগে লাগায়া দেই।মাঝে সাঝে ঘুম বেশি পাইলে ওরম করি। তাই নিয়া আপনাদের যত কথা।”

তনিমা হেসে উত্তর দেয়,”না না চাচা ঠিকই আছে।ঘুম কী আর কোনো বাহানা শোনে?”

“আপা খালি আপনিই আমারে যা বোঝেন।বাকি সবাই খালি ধমকায়।”

আসলে বাড়ির মালিক এবাড়িতে থাকেনা বলে দারোয়ান এমনটা করার সুযোগ পেয়েছে।কিন্তু এবাড়ির মালিক ভীষণই ভালো একজন মানুষ।যদিও তিনি দারোয়ানটাকে বেশ কয়েকবার আগে গেইট বন্ধ করা নিয়ে ধমকেছেন কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।আর দারোয়ান লোকটা বেশ বিশ্বস্ত হওয়ায় মালিক তাকে বরখাস্ত করেননি।আজকাল এমন লোক পাওয়া বড় কঠিন ব্যাপার।যাই হোক তনিমা বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়েছে।আর বাইরে তো বৃষ্টি অনেকক্ষণ আগেই শুরু হয়েছে।হঠাৎ কলিং বেলে আওয়াজ হলো।ঘড়ির কাটা তখন ১টা ছুই ছুই। তনিমা বলে উঠলো, “কে?” বাইরে থেকে আওয়াজ এলো,”আমি মিনা।ওইযে ছাদে আপনার সাথে আমার কয়েকবার দেখা হয়েছে।”

তনিমা বলে ওঠে,”ওহ আপনি?”

মিনা ঘরে ঢুকতেই তনিমা বলে উঠলো,”জানেন আপা এই গতরাতেই আমি আপনাকে স্বপ্নে দেখলাম।”

“আচ্ছা তাই নাকি।তো আমি কী করছিলাম?”

“তেমন কিছুনা।আমি আর আপনি গল্প করছিলাম।তখন সময় ছিলো রাত ১ টার কাছাকাছি।এরপর আমি বললাম চা খাবেন কিনা।আপনি প্রথমটায় অবাক হলেও পরে রাজি হলেন আর বললেন চা আপনি বানাবেন।এরপর আপনি চা বানাতে চলে গেলেন।”

এতটুকু পর্যন্ত বলে তনিমা থেমে গেলো।

“বাহ বেশ তো।স্বপ্নে যখন দেখেইছেন তাহলে চলেন আপনার স্বপ্নটাকে বাস্তবায়ন করি।আপনি বসেন আমি চা বানিয়ে আনছি।”

স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথা শুনে তনিমা ঘাবড়ে যায়।কারণ তার স্বপ্নটাতো ভীষণ ভয়ংকর ছিলো যেটা সে মিনার থেকে লুকিয়েছে।

তনিমা আমতা আমতা করে বলে ওঠে,”ঠি,,,ঠিক আছে আপা।”

মিনা যেতে ধরে হঠাৎ থেমে গেল।পিছন ঘুরে তনিমাকে বলল,”আপা একটা কথা বলি।”

“জী বলেন আপা।”

“আপনি যে একা থাকেন আপনার ভয় করেনা?”

প্রশ্নটা শুনে মিনা দ্বিতীয়বারের মতো ঘাবড়ে গেলো আর বললো,”না আপা ভয় কেনো লাগবে?”

উত্তর শুনে মিনা বলল,”বাহ আপনিতো বেশ সাহসী।আমি হলে তো ভয়ে মরেই যেতাম।”

কথাটা শুনে মিনা আর তনিমা দুজনই হেসে ওঠে।কিন্তু তনিমার হাসিতে ছিলো আতঙ্ক।

মিনা চা বানাতে চলে গেলো।

তনিমা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেনা তার গতরাতের স্বপ্নের সাথে এতকিছু মিলে গেলো কিভাবে।তার মানে কী সেটা সত্যিই।কিন্তু না রাস্তায় তো সে কোনো মানুষকে খুন হতে দেখেনি।

হঠাৎ লোডশেডিং হলো।এতকক্ষণ সবকিছুকে স্বাভাবিক মনে হলেও এখন তনিমার ভয় লাগছে।সে ঘামছে।হঠাৎ করে সে কুকুরের ডাক শুনতে পেলো।কুকুরটা পাগলের মতো ডাকছে।হঠাৎ তার মনে হলো মিনা ঘরে ঢোকার পর সে দরজাও লাগায়নি।কিন্তু এখন অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। দরজা লাগাতে যাওয়া হয়তো একটা বিরাট বড় ভুল এই মুহূর্তে।যদিও সে তার স্বপ্নকে একেবারে সত্য মানতে পারছেনা।কিন্তু একেবারে উপেক্ষাও করতে পারছেনা।স্বপ্নে সে কুকুরের ডাক শুনে বারান্দায় গেলেও সে এখন বারান্দায় গেলোনা।চুপ করে তার বিছানার নিচে লুকিয়ে থাকলো।এবার তার সব দ্বিধা দ্বন্দ্বকে ভেঙে দিয়ে একটা ধারালো অস্ত্র হাতে তার ঘরে আগুন্তকের প্রবেশ ঘটে।সে ভয়ে কাঁপতে থাকে আর ভাবতে থাকে কে তার ক্ষতি করতে চাইছে?সে তো রাস্তায় কাউকে খুন করতে বা হতে দেখেনি তাহলে লোকটা কে?আগুন্তক বিছানার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে।এই বুঝি বিছানার নিচে তল্লাশি করে।কিন্তু না।সে রান্নাঘরের দিকে চলে যায়।তনিমার কলিজা শুকিয়ে যায়,রান্নাঘরে তো মিনা আছে। লোকটা রান্নাঘরের দিকে চলে যেতেই তনিমা পুলিশকে কল করে।সে পুলিশকে তার এড্রেসটা দেয় আর বলে দ্রুত সেখানে আসতে।কারণ এখন ঘটনা খুলে বলবার সময় নেই।সবকিছু নিস্তব্ধ থাকার কারণে তার আওয়াজ ওই আগুন্তকের কানে পৌঁছে যায় আর আগুন্তক রান্নাঘর থেকে তার ঘরের দিকে আসতে থাকে।তনিমা ব্যাপারটা বুঝতে পারে।তার মস্তিষ্ক যেন আর কাজ করছিলোনা।সে দৌড়ে দরজার দিকে যেতে থাকে,আর তখনই সামনে থেকে একজন মহিলা বটির কয়েক কোপ দিয়ে তাকে হত্যা করে।বুঝতে বাকি থাকেনা যে মহিলাটা মিনা।

ঠিক তখনই পুলিশের গাড়ির আওয়াজ শোনা যায়।আওয়াজ পাওয়া মাত্রই তারা পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু তনিমা যে পুলিশে কল করেছে তা তাদের জানা ছিলোনা।তাই পুলিশের হাতে তারা ধরা পড়ে।

রিমান্ডে নেওয়ার পর অপরাধী নিজের অপরাধ শিকার করে আর সবকিছু খুলে বলে।পরেরদিন মিডিয়াতে পুলিশ সব ঘটনা তুলে ধরে। তার উক্তিতে:

“তনিমা সেদিন রাতে দুটো ছেলেকে ঝগড়া করতে দেখেছিলো।তাদের ঝগড়ার একটা পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রচন্ড মারামারি শুরু হয়।আর তনিমাকে যে ছেলেটা খুন করতে এসেছিলো সেই ছেলেটা অন্য ছেলেটাকে ছুড়িকাঘাতে হত্যা করে এবং লাশ গুম করে দেয়।আর শেষবার তনিমাই তাদেরকে ঝগড়া করতে দেখেছিলো,অর্থাৎ তনিমা প্রত্যক্ষদর্শী।তাই খুন হওয়া ছেলেটার নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে তখন যে তনিমা সাক্ষী দেবেনা তার কী গ্যারান্টি আছে?আর এই ছেলেটার বোন হলো মিনা।ছেলেটা তনিমাকে আগে থেকেই চিনতো।তাই সে মিনাকে সবকিছু জানায়।এরপর সে আর মিনা মিলে এই লোমহর্ষক খুনের পরিকল্পনা করে।মিনাই এত রাতে তার ভাইকে গেইটের ভিতরে ঢুকতে সাহায্য করেছিলো।কিন্তু আমরা খুবই দুঃখিত যে আমরা তনিমাকে রক্ষা করতে পারিনি।”

মন্তব্য করুন