এখন অনেক রাত । অকস্মাৎ শব্দ চিরে যায়।
হঠাৎ ডাকাত দেখে চৌকিদার বাঁশি কি বাজালো ?
হুইসিল নাকি ?–ট্রেন ছুটে গেলো মহাখালি দিয়ে ?
হঠাৎ সুগন্ধ কার ভেসে এলো এতটা ঝাঁঝালো ?
একবার বুকে হাত রাখি। কই, ব্যথাট্যথা নেই!
এখন অনেক পারি নিজেকেই করতে শাসন।
এমন অদিন ছিলো, উঠতাম সন্ত্রাসে ঝাঁকিয়ে
ভেঙে যদি যেতো হাতে সামান্যই কাচের বাসন!
রাতের আঁধার সে তো ঘন হবে এই স্বাভাবিক
এবং এ স্তব্ধতাও কিছু নয় লেখকের হাতে—
এই ঠিক ভালো বুঝে আজ রাতে ঘুমোতে গিয়েছি।
তখনই এ বাঁশি কার ? কেন বাজে ঘোর স্তব্ধতাতে ?
বাথরুমে ঢিলে নল, ফোঁটা ফোঁটা পড়েই চলেছে।
আকাশে এখনো চাঁদ ভেসে আছে বাম দিকে ক্ষয়া।
দেয়ালে বেড়াল বসে কালো থুমো এখনো ঘুমোচ্ছে
আমিই হঠাৎ জলে, শব্দ যেন জাহাজের বয়া—
কে দিলো দয়ায় ছুঁড়ে ? কালাপানি খলখল করে।
চন্দ্রাবতী নাম তার ? গন্ধ বুঝি কাঁঠালিচাঁপার ।
গীতিকার পাঠ হচ্ছে, ব্রহ্মপুত্র আজো বহে যায়
শুনেছি তবে সে বাঁশি করালের এ ঘুমে আমার?