হে মহান নেতা

81
0

কায়েদে আজম! হে মহান নেতা
সাড়া দাও,
দাও সাড়া,
তোমারে ভোলেনি, আজিও
ডাকিছে বঞ্চিত সবহারা
তোমারে হেরেনি, শুনেছিল শুধু
তোমার কন্ঠবাণী;
জেনেছিল তারা, তুলেছে পতাকা
তোমার বজ্রপাণি
অবিচল ন্যায়ে, সত্যের আলো
ইসলামী ছায়াতল
বহু যুগান্ত আধাঁর অন্তে আবার
সমুজ্জ্বল
হয়ে এল, নীল নভ হতে হাসে
অর্ধচন্দ্র-তারা
শ্যামা বসুমতী বিছায়ে আচল
নিশীথ তন্দ্রাহারা
হেরিল দিনের দীপ্তরবির আলোক
বিথারি পথ
ভরে জনতায় তব জয়াগানে
পুরাইয়া মনোরথ
দৃপ্ত স্বাধীন বক্ষের বলে লাখো
লাখো তাজা প্রাণ-
কায়েদে আযম! তোমারে স্মরিয়া
করিয়াছে কোরবান।
এনেছে আযাদী শতাব্দী শেষে,
তোমার মহান দান
অঞ্জলী পাতি করেছে গ্রহণ,
রাখিয়াছে সন্মান
সর্বহারার দল
আর যারা লোভী, ক্রুর শয়তান,
তাহারা করেছে ছল।

সুফিয়া কামাল
লিখেছেন

সুফিয়া কামাল

সুফিয়া কামাল একজন প্রথিতযশা বাঙালি কবি, লেখিকা, নারীবাদী ও আধুনিক বাংলাদেশের নারী প্রগতি আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে খ্যাতিমান।

সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ আব্দুল বারী ছিলেন একজন শিক্ষক এবং মা সাবেরা বানু ছিলেন একজন গৃহিণী।

সুফিয়া কামাল ১৯২২ সালে সৈয়দ হোসেনকে বিয়ে করেন। তাদের এক কন্যা ছিল।

সুফিয়া কামালের সাহিত্যজীবন শুরু হয় ১৯২৬ সালে। তার প্রথম প্রকাশিত কবিতা ছিল "আমার ছেলেবেলা"। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল:

* ঝিঙেফুলের মালা
* মায়ের কাছে
* মেয়েলি ছড়া
* কবিতাসমগ্র

সুফিয়া কামালের কবিতাগুলিতে তিনি নারীর অধিকার, নারীমুক্তি, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়গুলি তুলে ধরেছেন। তার কবিতাগুলিতে নারীর সংগ্রাম ও আত্মবিশ্বাসের কথা ফুটে উঠেছে।

সুফিয়া কামাল ছিলেন একজন প্রগতিশীল ও আধুনিক চিন্তাবিদ। তিনি নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও রাজনৈতিক অধিকারের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। তিনি নারীদের আত্মবিশ্বাস ও জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করার জন্য কাজ করেছেন।

সুফিয়া কামাল ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

মন্তব্য করুন