যদি থাকি, এলোমেলো, রুপোর সিন্দুকে কিংবা ঝুলপড়া ম্লান কুলুঙ্গির জিরের কৌটোয়….
একাকী, অব্যর্থ কোনো
ছোটবেলা থেকে-খসা মাদুলির মতো
তাহলে কী মানে হয় ? হয় না, সেহেতু
আমি থাকি, না-ই থাকি
তোমার কী আসে-যায় বলো ?
জোনাকি যেমন নেয় সমুদ্রের বুকের উজ্জ্বল ফসফরাস, যায় আসে সমুদ্রের সত্য কোনো কিছু ? তেমন আমিও যদি অলক্ষ্যে তোমার নিই পিছু—
চলে যাই, যেখানে যাইনি আগে
তীব্র বারান্দার
এক কোণে ছায়া ফেলি মিশে গিয়ে সুপারি-সম্বিতে তাহলে কী কাণ্ড হয় সত্যকার ? হতেও তো পারে জীবনে এমন গল্প পায় না দুর্ভিক্ষ বারে বারে—
ক্ষুধা কিংবা তারো চেয়ে অগ্রসর আদি বাসনাতে
যদি থাকি, এলোমেলো, রুপোর সিন্দুকে–শূন্য হাতে
চির ভিখারির মতো
যেন গানে রবীন্দ্রঠাকুর তোমাকে আপ্লুত করে, তুমি তারই জটিল সন্তান
অধুনা ধূলির ঝড়ে, সমাজিয়া চৈতন্যে ভরপুর—আমাকে কী দিয়ে যাবে ? তোমার স্বভাবে-মগ্ন
আমার প্রগতিরোধ সবেমাত্র ঘুচে গেল কাল !