রক্তে আগুন তোর, তুই এতো নমনীয় হোলি
চন্দনে সিক্ত কপাল হোলি তুই বিনম্র মাধবী!
প্রাচীন পিঁচুটি চোখে তোর এতো দীর্ঘ হলো ঘুম
তুই কোনো রাত্রি দেখলি না, কোনো সকালের সূর্য দেখলি না।
রক্তে তোর হত্যার উৎসব
তবু তুই পৃথিবীর যে কোনো রক্তপাতে এতোবেশি কাতর হোলি
প্রমাণিত কয়েদীর মতো হোলি এত অসহায়, এতো নতমুখী তরু!
ভেতরে এতো বিক্ষোভ, তবু তুই বিক্ষুব্ধ হোলি কৈ!
রৌদ্রে ফাটা মাটি তোকে ঢেকে নিলো গভীর তুষার,
সুঠাম ইটের মতো দহনের ক্ষতচিহ্ন দেহে নিয়ে তোর মাটি
সভ্যতার সরঞ্জাম হলো…
দাহ তোকে টেনে নিলো
অপরূপ মধ্যরাতে ছিঁড়ে পড়া আকাশের সেই সব তারা
সেই সব বৃন্তচ্যুত তরুণ নক্ষত্রের ব্যথা তোকে কি ভীষণ
টেনে নিলো বুকে।
তুই কতো শিশু ছিলি এতোকাল অবাধ্য বালক
আদিম পিতার চে’ও তুই ছিলি বেশি নগ্নতনু
ছিলি খুব অনাবৃত অপরূপ স্বভাবে বিশ্বাসে,
তবু তুই আবরিত হোলি শেষে ঘোলাটে তুষারে, হোলি তুই
বাধ্য বিনয়ী বকুল।
রক্তে প্রেম তোর, তবু তুই হোলি এতো বেশি নিসঙ্গ মানুষ!