কার্পাশ মেঘের ছায়া

শিমুল শাখারা তবু এতো লাল হয়ে উঠে আজো,
আজো এতো রক্তময় হৃদয়ের মতো শুষ্ক বাতাসে ছড়ায়
লোহিত সুঘ্রান।

সেই শৈশবে উড়ন্ত কার্পাশ মেঘের দিকে
ছুটতে ছুটতে একদিন নদীর কিনারে এসে মন্ত্রমুগ্ধ
জলের দিকে নির্বাক চেয়ে থাকা চোখ সেই প্রথম দেখেছিলো
আপন প্রতিকৃতি-

জীবনে সেই প্রথম নিজেকে দ্যাখা, নিজের শরীরের দিকে
দৃষ্টি ফেরানো- তখনো জননী মানেই অভিমানে ভেজাচোখ
আঁচলে মুখ লুকিয়ে কেড়ে নেয়া স্নেহ-সিক্ত হাতের পরশ
তখনো জননী মানে শুধুই মা।

জলে আর্শিতে দ্যাখা সেই বিভোর বিস্মিত কিশোরের ছায়া
আজো সে তেম্নি স্থির থমকে দাঁড়ায় এসে নদীর কিনারে,
মৌশুমে সব শিমুল ফুটে উঠে গাঢ় লাল
বাতাসে কার্পাশ ফাটে…
দুরন্ত কৈশোরে আজো ঠিক তেমনি ছুটে যায় তুলোর মেঘের পেছনে

শুধু রক্তাক্ত হৃদয়খানা বুকের ভেতরে লুকিয়ে তন্ময় আমি
গোপনে নিজেকে বলি : তুমি খুব বড়ো হয়ে গেছো, খোকা
তুমি খুব বড়ো …

২০/০৮/১৯৭৬ সিদ্ধেশ্বরী, ঢাকা।

মন্তব্য করুন