স্বচ্ছ সুনীল শান্ত আকাশে নিতল নয়ন জাগে
স্নিগ্ধ হাসিটি বিকশি উঠেছে শিশির আর্দ্র ফুলে।
রক্ত কমল হংস মিথুন চিত্রিত অঞ্চলা
নির্মল নারী নদীর বসনে আবরি সোনার তনু
শারদলক্ষ্ণী এলো।
কক্ষে কাঁপিছে ধানের ঝাঁপি শষ্য উছল খেতে
নব রবিকর গলিত কনকে প্লাবিত চরণতল
অস্ত ভানুর গোধূলি সিঁদুরে রচিত সীমন্ত শোভা
রজত ধবল পেলব কোমল জোৎস্নাবগুণ্ঠনে
শারদলক্ষ্ণী এলো।
চঞ্চল লঘু নির্বারি মেঘে ধ্বনিছে শঙ্খরোল
ভোরের শুভ্র অভ্র ভরিছে প্রভাতি পাখির সুর
চ্যুত শেফালির আলিপনা ঘেরা শ্যাম তৃণ অঙ্গনে
চারু চরণের চিহ্ন আঁকিয়া ধীর পদ সঞ্চারে
শারদলক্ষ্ণী এলো।
শিথিল মুঠিতে কাশ মঞ্জরী চিকন চামর দোলে
কোমল কণ্ঠে স্থল কমলের কমনীয় ফুলহার
কবরী আবরি কবরীগুচ্ছ কুসুমিত কুরুবক
অতি সুন্দর অতসী বলয়ে বাহু বল্লবী বেড়ি
শারদলক্ষ্ণী এলো।
চরণপদ্মে রক্তজবার নব আলক্ত রেখা
স্বর্ণ নূপুর নিক্কন শুনি শিশুতরু মর্মরে
সাগরে শৈলে প্রান্তরে বনে বিথারি বর্ণ বিভা
দিগ দিগন্ত দীপ্ত করিয়া দিব্য প্রভায় আজি
শারদলক্ষ্ণী এলো।