আবার যখনই দেখা হবে

148
0

আবার যখনই দেখা হবে, আমি প্রথম সুযোগেই
বলে দেব স্ট্রেটকাটঃ ‘ভালোবাসি’।
এরকম সত্য-ভাষণে যদি কেঁপে ওঠে,
অথবা ঠোঁটের কাছে উচ্চারিত শব্দ থেমে যায়,
আমি নখাগ্রে দেখাবো প্রেম, ভালোবাসা, বক্ষ চিরে
তোমার প্রতিমা। দেয়ালে টাঙ্গানো কোন প্রথাসিদ্ধ
দেবীচিত্র নয়, রক্তের ফ্রেমে বাঁধা হৃদয়ের কাচে
দেখবে নিজের মুখে ভালোবাসা ছায়া ফেলিয়াছে।

এরকম উন্মোচনে যদি তুমি আনুরাগে মুর্ছা যেতে চাও
মূর্ছা যাবে,জাগাবো না,নিজের শরীর দিয়ে কফিন বানাবো।

‘ভালোবাসি’ বলে দেব স্ট্রেটকাট, আবার যখনই দেখা হবে।

নির্মলেন্দু গুণ
লিখেছেন

নির্মলেন্দু গুণ

নির্মলেন্দু গুণ, একজন বাংলাদেশী কবি, গীতিকার, সাংবাদিক এবং চিত্রশিল্পী। তিনি ১৯৪৫ সালের ২১ জুন নেত্রকোনার বারহাট্টায় জন্মগ্রহণ করেন।

গুণ ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি সাংবাদিকতায় তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক বাংলা পত্রিকায় কাজ করেন। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখেন।

গুণ একজন প্রতিভাবান কবি এবং তার কবিতা বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে। তার কবিতায় নারীপ্রেম, শ্রেণীসংগ্রাম এবং স্বৈরাচার বিরোধিতা প্রভৃতি বিষয়বস্তু প্রাধান্য পায়। তার উল্লেখযোগ্য কবিতার মধ্যে রয়েছে “হুলিয়া”, “মানুষ”, “আফ্রিকার প্রেমের কবিতা”, “একটি অসমাপ্ত কবিতা” ইত্যাদি।

গুণ একজন জনপ্রিয় গীতিকারও। তিনি অনেক জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের গান রচনা করেছেন। তার রচিত গানগুলির মধ্যে রয়েছে “ওরে সোনা রোদ্দুর”, “ওরে নীল দরিয়া”, “আমি তোমার প্রেমে বলব না” ইত্যাদি।

গুণ তার সাহিত্যকর্মের জন্য অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ গীতিকার) লাভ করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন।

গুণ একজন সমাজসেবক ব্যক্তিও। তিনি অনেক সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন। তিনি বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশে বিশেষ অবদান রেখেছেন।

মন্তব্য করুন