নিজেকে কোথায় খুঁজি – কাছে দূরে ভিতরে ভিতরে
সবখানে খণ্ড খণ্ড করে
ছড়ানো ছিটানো আমি – অথচ ‘অস্তিত্ব’ শব্দটাকে
কত ঘোর ঝড়-ঝঞ্ঝা কত দুর্বিপাকে
গানের মতন করে বুকে নিয়ে সেই কবে থেকে
আমি আছি আমি আছি – এরকম বোধের উদ্রেকে
অবিরাম খুঁজি আর খুঁজি–
পূর্ব পুরুষের দেয়া জন্মপত্রী কোষ্ঠী বা ঠিকুজি
মিলিয়ে পণ্ডিত বলে – গ্রহ নক্ষত্রের শত জটিল বিদ্রূপে
চন্দ্রকান্ত হয়ে আছি দৈববশে বায়ূবহ রূপে
প্রতি রাতে চাঁদ দেখি – প্রথমা দ্বিতীয়া করে শুক্লপক্ষ শেষে
কৃষ্ণপক্ষ আসে যায় – অমাবশ্যা পূর্ণিমার অন্তরে প্রবেশে
দৃষ্টি রেখে ক্লান্ত হই – ধরার ব্যাকুল ইচ্ছে কেবল উদ্বাহু
হতে থাকে – মুঠোর ভিতরে কোন রাহু
পূর্ণচন্দ্র গ্রাস করে – চন্দ্রকান্ত পূর্ণ অবয়ব
তবে কি কোথাও নেই – বিনষ্টি কেবল অট্টহাসি দিয়ে সব
নৈশব্দ বিদীর্ণ করে ছুঁড়ে দেয় এখানে-সেখানে–
নিজেকে কোথায় খুঁজি – ছোট ছোট খণ্ড জুড়ে অন্তহীন গানে
শব্দকে শব্দের পিঠে গাঁথার কৌশলে
মূর্তি গড়ে অবশেষে গেলো না সনাক্ত করা তাকে ‘আমি’ বলে