চৈত্রী এসে দাঁড়িয়েছে সন্ধ্যা থেকে কবিতার চোখের ভিতরে
দারুণ উজ্জ্বল হয়ে, যেন সে দেখাবে তার গহীন গোপনে
ভিন্নতর জাদু কিছু – কী আছে দেখার মতো এতো কাল পরে ?
সমস্ত নগ্নতা ঘেটে দেখে কবি – উজ্জ্বলতা ছেনে-ছেনে, মনে
কৌতূহলী প্রত্যাশায় খুঁজে বুঝে দেখে নেই – কিছুই দেখার —-
প্রত্যহ সন্ধ্যায় মুখে রঙিন প্রলেপ দিয়ে সারি সারি যারা
প্রতীক্ষায় থাকে রোজ, তাদের যেমন নেই অবশিষ্ট আর —–
চৈত্রী দেখে, সাধ্য নেই পাড়ি দেবে কবিতার চোখের পাহারা
বাস্তবিক বৃক্ষ-লতা পশু-পাখি ক্লেদ-ক্লান্ত মানব মানবী
পরাবাস্তবেও যার ভিন্ন কোনো চিত্রকল্প দেখো নি হে কবি
তাদের বিস্তার-লোভী আপন প্রদাহ যতো ছুড়ে ফেলে দিয়ে
চলে যাও চলে যাও এই সব নক্ষত্রের আকাশ পেরিয়ে
ভিতরের অন্ধকার ভেদ করে অবশেষে জেনেছো তো এই
আপন আলোক ছাড়া জীবের দেখার মতো আর কিছু নেই।