এইখানে এইখানে – আহা খুব যত্নে রাখো লাশ
শোকসভা আয়োজনে পবিত্রতা বড় প্রয়োজন
তা ছাড়াও এ তো নয় যে কোনো লাবণ্যময়ী — যেন তেন জন
অন্তত নিজেকে দেখে এ আমার একান্ত বিশ্বাস
ঈশ্বরের ইচ্ছে থেকে শুরু করে অধম নশ্বর
এই আমি – ওর সাথে সৃষ্টির আনন্দে সহবাস
করেছি বিদগ্ধ হয়ে — ওর ওষ্ঠ পীন পয়োধর
পদ্মরাগ ত্রিবেণীও পূর্ণ কামে অমূর্ত থাকেনি
আবার কখনো ওকে গড়েছে আমার তীক্ষ্ণ ছেনি
আমারই আরাধ্য করে — আমি তার দাস অনুদাস
চেয়ে চেয়ে সম্মোহিত হয়ে আমি পরম বিষ্ময়ে
পড়েছি রহস্যময় ওর দুটি চোখের কুয়াশা
মরাল গ্রীবার ভঙ্গি – হাসির বিদ্যুৎবাহী ভাষা
বাহুর পেলবতায় বাঁধা পড়ে নানা ছন্দে লয়ে
রমণ-রঙ্গের স্রোতে দ্রুততর করেছি নিঃশ্বাস
আহা খুব যত্নে রাখো – ও কী – ও কী দেখোতো দেখোতো
কী ভীষণ হট্টগোল করে আসে ভাগাড়ের শিয়াল-শকুন
কে ওদের শেখবে যে এ সময় নীরবতা পালনের রীতি —
তালহীন ছন্দলয় মাত্রাজ্ঞানহীন এই অপগণ্ডদের
বহুকাল ধরে ক্ষিপ্ত দংশনেই মৃত এই মহামান্যা আজ
উচ্চকিত বাদ্য তবু বাজাতে এসেছে ওরা লাশের কঙ্কালে —
এমত অবস্থা তাই শোকসভা বাতিল — রহিত
আহা খুব যত্নে রাখো লাশ এই নদীটার পাড়ে
শিয়ালেরা শকুনেরা ফিরে যাক পৃথিবীর ভাগাড়ে ভাগাড়ে
এ নদী আমার বুক – মৃত্যুপুরী অভিমুখী শোকাতুর নদী
এখানে ভাসান হবে উপদংশে মৃত কবিতার
বিপরীত যাত্রা করে পাড়ি দিয়ে মরণের অন্ধকার দ্বার
ঈশ্বরের সভাকক্ষে আলো জ্বেলে হবো আমি সাঁইজী দরদী
আবার জাগিয়ে দেব অমরায় ঐশ্বরিক মীন
তিনের জোয়ারে — আর এবার সে হবে মৃত্যুহীন ।