ছোট বড় দুটো হাতে ঘড়িতে সময় বেঁধে ঘোরাতে ঘোরাতে
নিয়ে যাচ্ছে কোথায় কে জানে – তবু তাকে যত্ন করে
দেয়ালে ঝুলিয়ে রেখে আমার মাথায় দিনে রাতে
পেণ্ডুলাম দোলাই নিজেই – আর নিজের ভিতরে
ঘোড়ার নালের শব্দ শুনি সেই কত যুগ থেকে –
এ নিয়ে কখনো কোনো প্রশ্ন আমি করিনি নিজেকে
যে প্রেতিনী দীর্ঘশ্বাস গোপনে লুকিয়ে খায় পাঁজরের হাড়
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু পা-ঠোকা ঘোড়ার নালে সেও প্রীত হয় –
আমাদের ভূগোলোকে যেমন সাগর নদী সমতল এবং পাহাড়
আঁকা থাকে স্থির – শুধু ঘোরালেই ঘোরে তাতে কিসের বিষ্ময়
চেঙ্গিস খানের মতো ভূগোলের বুক চিরে আমার ঘোড়াটা
কখনো ছোটেনি – শুধু বৃত্তের ভিতরে তার স্লথ পায়ে হাঁটা
ক্লান্তির নেশায় এক ঝিমধরা মাতালের গান –
আয়ুর বিশাল বোঝা পিঠে নিয়ে ঝুলে পড়া চোয়ালের কশে
ফেনা তুলে ভাবে আর কতবার ঘুরে তবে হবে অবসান
ঈশ্বরের বিজ্ঞাপনে লেখা সেই ভয়ংকর সর্বাত্মক ধ্বসে –
ভূগোলোক কুরে কুরে সে প্রেতিনী দীর্ঘশ্বাস কবে
উড়িয়ে ঘুণের ধুলো অশ্বটার শেষ হাঁচি হবে