শোনো হে বিশ্বকবি —
তোমার কলম তুলির আঁচোড়ে কোনোদিন তুমি আঁকনি যাদের ছবি
যে চাষির ঘামে হয়েছে তোমার অন্ন সংস্থান
যে মজুর গড়ে দিয়েছে তোমার রম্য বাসস্থান
যে শ্রমিক গড়ে শহর নগর পথ-ঘাট প্রতিদিন
হিসেব করেছো তাদের কাছেই তোমার কতোটা ঋণ ?।
যে তাঁতিটি বসে বুনছে কাপড়, যে জেলেটি মাছ ধরে
কোনোদিন তুমি যাওনি তাদের জীর্ণ মলিন ঘরে
কুমোর কামার সুতার কাউকে কখনো ডাকোনি পাশে
বসতে পারোনি পথের ধুলায় অথবা আলের ঘাসে
ভাই বলে তুমি ডাকোনি কাউকে যারা বড়ো দীন-হীন ।।
কান পেতে আছো শুনতে সে কার, সে কোন কবির বাণী
হৃদয়ে তোমার বেজেছে কি কোনো পরাধীনতার গ্লানি ?
কতো বিদ্রোহ কতো প্রাণ দান কতো রক্তের খেলা
না দেখেই বলো কাটলো কী করে তোমার জীবনবেলা ?
বিলেতি বুলেটে মৃত্যু দেখোনি – দেখোনি কি সংগিন ?।
ভারত পাকিস্তান পাড়ি দিয়ে খুনেরাঙা বীর হয়ে
আমরা তো এক গর্বিত জাতি স্বাধীন পতাকা বয়ে
তিরিশ লক্ষ শহীদি রক্তে লেখা কবিতাটা পড়ো
এই বাণীটাই সে কবির বাণী, যে সবার চেয়ে বড়
তোমার বাণীও পতাকার সাথে রেখেছে সে উড্ডীন।