আমার এ-গান
কোনোদিন শুনিবে না তুমি এসে—
আজ রাত্রে আমার আহ্বান
ভেসে যাবে পথের বাতাসে,
তবুও হৃদয়ে গান আসে।
ডাকিবার ভাষা
তবুও ভুলি না আমি—
তবু ভালোবাসা
জেগে থাকে প্রাণে;
পৃথিবীর কানে
নক্ষত্রের কানে
তবু গাই গান;
কোনোদিন শুনিবে না তুমি তাহা, জানি আমি—
আজ রাত্রে আমার আহ্বান
ভেসে যাবে পথের বাতাসে—
তবুও হৃদয়ে গান আসে।
তুমি জল, তুমি ঢেউ–সমুদ্রের ঢেউয়ের মতন
তোমার দেহের বেগ—তোমার সহজ মন
ভেসে যায় সাগরের জলের আবেগে;
কোন্ ঢেউ তার বুকে গিয়েছিলো লেগে
কোন্ অন্ধকারে
জানে না সে; কোন্ ঢেউ তারে
অন্ধকারে খুঁজিছে কেবল
জানে না সে; রাত্রির সিন্ধুর জল
রাত্রির সিন্ধুর ঢেউ
তুমি এক; তোমারে কে ভালোবাসে; তোমারে কি কেউ
বুকে ক’রে রাখে।
জলের আবেগে তুমি চ’লে যাও—
জলের উচ্ছ্বাসে পিছে ধুধু জল তোমারে যে ডাকে।
তুমি শুধু একদিন, এক রজনীর;
মানুষের—মানুষীর ভিড়
তোমারে ডাকিয়া লয় দূরে—কতো দূরে—
কোন্ সমুদ্রের পারে, বনে—মাঠে—কিংবা যে-আকাশ জুড়ে
উল্কার আলেয়া শুধু ভাসে—
কিংবা যে-আকাশে
কাস্তের মতো বাঁকা চাঁদ
জেগে ওঠে—ডুবে যায়—তোমার প্রাণের সাধ
তাহাদের তরে;
যেখানে গাছের শাখা নড়ে
শীত রাতে—মড়ার হাতের শাদা হাড়ের মতন—
যেইখানে বন
আদিম রাত্রির ঘ্রাণ
বুকে ল’য়ে অন্ধকারে গাহিতেছে গান—
তুমি সেইখানে।
নিঃসঙ্গ বুকের গানে
নিশীথের বাতাসের মতো
একদিন এসেছিলে,
দিয়েছিলে এক রাত্রি দিতে পারে যত।