আপনার জন্য অসীম ভালবাসা

249
0

পর্ব -১

ঘড়ির কাটায় সকাল ১০ টা বাজে। বিছানায় এখনো পরে পরে ঘুমোচ্ছে ইরা । তার মা এসে তাকে ডাকতে থাকে “কিরে ইরা কলেজ যাবি না এখনো ঘুমোচ্ছিস, এই ইরা উঠ,, ১০ টা বাজে “। দশটা বাজে শুনে ইরা লাফ দিয়ে উঠে বলে ” কি বলছো এসব আগে ডাক দিবে না “। ইরার মা বলে ” আগে ডাক দিলে কত না উঠে যেতি সারারাত তো বসে বসে প্রাচীন যুগের সিনেমা দেখিস। ইরা বলে “ওফ্ মা এখন তোমার বাঙালি লেকচার বন্ধ করে টেবিল এ নাস্তা দেও আমার একটু পরেই এক্সাম “। এই বলে সে তাড়াতাড়ি মুখ ধুয়ে তৈরী হয়ে যায় কলেজে যাবার জন্য। সে একটুখানি খাবার খেয়ে চলে যাচ্ছিল তখন তার মা বলে ” আরে শোন আরেকটু খেয়ে যা আসবি তো সেই বিকালে “। ইরা বলে “মা আমি বাহিরে কিছু খেয়ে নিবো আসি এখন দেরি হয়ে যাচ্ছে, আল্লাহ হাফেজ “। ইরা দৌড়ে বাসে উঠে। যাওয়ার পথে রাস্তায় এত জ্যাম দেখে সে নেমে দৌড়ে কলেজ যায়, কলেজ গিয়ে দেখে এক্সাম শুরু হয়ে গেছে। সে তাড়াতাড়ি হলে ঢুকে এক্সাম দেয়। এক্সাম শেষে তার বেস্ট ফ্রেন্ড নাদিয়া তাকে বলে ” আজকে এত কষ্ট করে আসছিলি কেনো না আসতি বাসায় বসে মুড়ি খেতি “। ইরা বলে ” মজা করিস না তো এমনিতেই সকালে একটু খেয়ে এক্সাম দিতে এসেছি খুদা লাগছে অনেক চল ক্যন্টিনে গিয়ে কিছু খেয়ে আসি “। তারপর তারা দুজন ক্যন্টিনে যায়। খাবার খাওয়ার সময় ইরা বলে ” জানিস কালকে রাতে প্রাচীনদের নিয়ে একটা মুভি দেখছিলাম, অসাধারণ ছিলো কিন্তু জানিস এনডিং এর দিকে মুভি এর হিরো প্রীন্স আশিক মারা যায় “। এই বলে সে কাঁদতে থাকে। তখন নাদিয়া বলে ” আরেহ বলদ ওটা মুভি ছিলো রিয়েল লাইফ না, আর তুই আমাকে একটা কথা বলতো তুই এই নিউ জেনারেশন এর হয়ে প্রাচীন যুগ এর প্রতি এত আগ্রহ কেনো তোর?? । ইরা বলে ” আমি নিজে ও জানি না আমার প্রাচীন যুগ
নিয়ে কেনো এত আগ্রহ, সত্যি বলতে আমার প্রাচীন রাজমহল, ঘোড়ার গাড়ি, তলোয়ার এসব এর প্রতি অনেক আগ্রহ যেটা বলে বুঝানোর মত না “। নাদিয়া তারপর আর কিছুই বলে না, কারন সে জানে ইরা প্রাচীন যুগের সম্পর্কে জানার কত আগ্রহী। সন্ধ্যায় ইরা তার রুমে বসে লেপটপ এ বিভিন্ন প্রাচীন রাজপ্রাসাদ নিয়ে দেখছিলো সে দেখে তাদের এলাকার পাশের এলাকাতেই একটা বিশাল রাজপ্রাসাদ ছিলো যেটি রাজা রামগুপ্ত সেন বানিয়েছিলেন। সে এটা দেখে অনেক খুশি সে ভাবে কালকেই এখানে যাবে দেখার জন্য কিন্তু একা একা এতদূরে যাবো কি করে মা জানলে তো আর আস্ত রাখবে নাহ। তখন সে নাদিয়া কে কল করে। নাদিয়া কল ধরে বলে ” কিরে প্রাচীন যুগের চাকরানী বল কি বলবি “। ইরা বলে “তোকে একদিন বলেছি না আমাকে এ নামে ডাকবি না, ডাকলে প্রাচীন যুগের রাজকন্যা বলে ডাকবি “। নাদিয়া বলে ” আসছে আমার রাজকন্যা চাকরানী যে বলেছি এটাই অনেক এখন বল কি বলবি “। ইরা বলে ” তোর সাথে লাগাই উচিত না, এখন শোন আমি একটা প্রাচীন রাজপ্রাসাদ এর খোজ পেয়েছি যেটা আমাদের পাশের এলাকাতেই, চল কালকে গিয়ে ঘুরে আসি “। তার এ কথায় নাদিয়া সোজাসুজি না বলে দেয় এবং কল কেটে দেয়। পরদিন কলেজে ইরা নাদিয়া কে অনেক রিকুয়েষ্ট করতে থাকে বলে ” আমার বাবু,টিয়া, ময়না প্লিজ আয় দেখ তুই না আমার বেস্টু আয় প্লিজ “। নাদিয়া বলে ” দেখ, এমন পাম টাম কোনো কাজ হবে নাহ, আর আমার এসব জায়গায় যেতে ভালো লাগে না, এত ইচ্ছা হলে তুই একা যা “। তখন ইরা বলে ” কিভাবে বললি তুই এটা, তোর কাছে কি আমার ইচ্ছার কোনো দাম নেই “, এই বলে সে অনেক নাটকের কান্না করতে থাকে। নাদিয়া বলে ” হয়েছে আর এমন নাটকের কান্না করতে হবে না, যাবো তোর সাথে “। নাদিয়ার এই কথা শুনে ইরা খুশিতে নাদিয়াকে জড়িয়ে ধরে বলে ” আলাবো বান্ধুবী “।
নাদিয়া ” হয়েছে হয়েছে, এখন বল কবে যাবি?। ইরা বলে ” চল কালকেই যাই “। নাদিয়া বলে ” ঠিকাছে সকালে কল দিস আমি চলে আসবো “। ইরা বলে ” ঠিকাছে “। বাসায় এসে ইরা তার মাকে যখন বলে তখন তিনি পুরোপুরি না করে দেয়। কিন্তু ইরা অনেবার রিকুয়েষ্ট করাতে তিনি রাজি হয়ে যান আর বলেন ” দেখ মা তুই ছোট থাকতে তোর বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, আমার এখন আপন বলতে তুই আছিস, তোর যদি কিছু হয়ে যায় আমি মরে যাবো রে মা” , এই বলে তিনি কান্না করে দেন।
তখন ইরা তার মাকে জড়িয়ে ধরে বলেন ” এই যে মা কান্না করছো কেনো, দেখোতো এভাবে কান্না করলে আমার ভালো লাগে বলোতো তুমি, এই যে আমার রাণী সাহেবা আপনি যদি এমন ভাবেই কান্না করতে থাকেন আপনার রাজকন্যা কিন্তু রেগে যাবে তখন কিন্তু সে তার রাজ্যে চলে যাবে “। তার এ কথা শুনে তিনি বলেন ” তুই তোর প্রাচীন জামানা ছাড়া কিছু বলতে পারিস না তাই নাহ “। ইরা তখন হেসে ফেলে আর তার মায়ের কোলে মাথা রেখে তার মার মন ভালো করতে থাকে। ইরা সকাল সকাল তৈরি হয়ে নেয় সাথে করে সে তার ক্যামেরা আর ব্যাগ টা নিয়ে নেয়। সে সকাল থেকে নাদিয়াকে কল করছে সে ধরছে নাহ । তখন ইরা বলে ” এই বলদের বাচ্চা টাকি এখনো ঘুম থেকে উঠে নাই, না আর এখানে দাড়িয়ে থাকলে হবে নাহ ওর বাসায় যেতে হবে “। ইরা তাড়াতাড়ি নাদিয়া এর বাসায় আসে। সে এসে শুনে নাদিয়ার অনেক জ্বর আসছে বিছানা থেকে উঠতে পারছে নাহ। তাই সে একাই ভেবে নেয় সেখানে সে একাই যাবে। তখন সে একটা বাসে উঠে সেই রাজপ্রাসাদ এর উদ্দেশ্য যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে তার গন্তব্যে পৌছায়। সে রাজপ্রাসাদ টি দেখে একদম মুগ্ধ হয়ে যায়। এত বছর পুরোনো তাও কি সুন্দর। সে ভিতরে যাওয়ার জন্য বড় একটি দরজার সামনে দাড়ায়। মাকড়শার জাল দরজাটিকে ঘিরে রেখেছে। ইরা হাত দিয়ে মাকড়শার জালগুলোকে সরিয়ে দরজাটিতে ধাক্কা দেয়। দরজাটি খুলে যায়। ইরা একটু ভয় ভয় পাচ্ছিলো কারন ভিতর টা একটু অন্ধকার ছিলো। সে মনে মনে বিসমিল্লাহ বলে ডান পা রাখে। তারপর আস্তে আস্তে ভিতরে যায়। বিশাল বড় লিভিং রুম তার উপর এত বড় ঝাড়বাতি যেটা মাকড়শার জালে আচ্ছন্ন ছিল। সে দেখে সোজা বরাবর অনেক বড় সিড়ি যা দিয়ে দোতলায় যাওয়া যায়। সে প্রথমে লিভিং রুম টাকে ভালো করে দেখে। বড় বড় সোফা সেট যেগুলো দেখতে খুবই দারুণ লাগছিলো। ইরা বলে ” এত বছর হয়ে গেলো এই প্রাসাদের কোনো জিনিস পএই কেউ সরায়নি আজব ব্যাপার “। ইরা লিভিং রুমের সব কিছু ঘুরে ঘুরে দেখার পর সিড়ি দিয়ে দুতলায় যায়। সে দেখে দুতলার ডানপাশে ৪/৫ টা রুম আমার বাম পাশেও ৪/৫ টা রুম। সে বুঝতে পারছিলো না কোন দিকে আগে যাবে। সে দশ বিশ এিশ করে দেখে বাম দিকে একশ পরেছে। তাই সে বাম দিকে যায়। প্রথম রুমটি তে সে দেখতে পায় একটা খাট, দুটা সোফা, আর একটা পেইন্টিং । সে পেইন্টিং টার সামনে গিয়ে দেখে পেইন্টিং টাতে একটা ছেলে হাতে তলোয়ার নিয়ে দাড়িয়ে আছে, চেহারাটা এতটা বুঝা যাচ্ছিলো না। ইরা তার ক্যামেরা দিয়ে পেইন্টিংটার একটা ছবি তুলে নেয়। তারপর বাম দিকের সর্বশেষ রুমটি হলো লাইব্রেরি, সে ঢুকে দেখে সারি সারি অনেক বই সে ভাবে “এতগুলা বই এখানে মনে হয় রাজা অনেক বইপাগল ছিলেন “। তারপর সে লাইব্রেরি টা ঘুরে ঘুরে দেখে। তারপর ডানপাশের রুমগুলোর দিকে যায়। প্রথম রুমটিতে ছিলো বিশাল খাট, জানালার পাশে একটা আলনা, ড্রেসিং টেবিল। ইরা বলে ” এটা হয়তো রাজার রুম তাই এমন ভাবে সাজানো ” সে আয়নার সামনে যায়, তখন সে দেখে আয়নাটা একদম পরিস্কার মনে হয় যেনো প্রতিদিন এই আয়নাটাকে পরিস্কার করা হয়। তারপর সে এগুলো নিয়ে না ভেবে এর পরের রুমটিতে যায়। এরপরের রুমটিও আগের মতই এমন সাজালো ছিলো কিন্তু এবার জানালার পাশে কোনো আলনা ছিলো না একটা টেবিল ছিলো টেবিল এর উপর কয়েকটা বই ছিলো সে টেবিল এর কাছে যাওয়ার পর তার কেমন যেন লাগে। পরে সে ওখানের তিনটা বই সাথে নিয়ে যায় তখন সে দেখে টেবিলের নিচে একটা ড্রয়ার আছে। সে ড্রয়ার খুলার পর লাল রং এর একটা ডায়েরি দেখতে পায়। সে ডায়েরি টা ও নিজের সাথে নিয়ে নেয়। ইরা বলে “এটা হয়তো রাজার মেয়ে বা ছেলের রুম হবে, তাই এখানে টেবিল রাখা “। তারপর সে পুরো রাজপ্রাসাদ টা ঘুরে দেখার পর বাসায় যাওয়ার জন্য বাহির হয়। সে বাহির হওয়ার সাথে সাথে দরজা টা জোরে লেগে যায়। ইরা একটু ভয় পেয়ে যায়। তারপর সে বাসায় যায়। বাসায় ফিরতে ফিরতে তার সন্ধ্যা হয়ে যায়। ইরার মা জানতো নাদিয়া ও ইরার সাথে গেছে কিন্তু পরে তিনি নাদিয়াকে কল করে সব জানতে পারে। বাসায় ইরা আসার পর দেখে তার রেগে বসে আছে। তিনি ইরা কে দেখে বলে ” তুই কি পাগল, একা একা ওই জায়গায় চলে গেলি তোর কি একটু ও বুদ্ধি নেই একটাবার ভেবে দেখেছিস, একলা করে যে গেলি যদি তোর কিছু হয়ে যেতো “। তিনি অনেক বকাবকি করেন ইরা কাঁদতে কাঁদতে তার রুম এ চলে যায়। ইরা রুম এ গিয়ে দরজা আটকিয়ে দেয়। সে অনেক কান্না করে রাতে তার মা তাকে গিয়ে ডাকে। ইরার মার ও অনেক খারাপ লাগছিলো তিনিও কান্না করেন তার মেয়ে এর জন্য। তারপর ইরার মা বলে দরজা খুলতে তারপর ইরা দরজা খুলেই বলে ” মা আই এম সরি, আমার উচিত হয়নি আমি ওই জায়গায় একা গিয়েছি আমি তোমাকে প্রমিস করছি মা আমি আর এমন কখনো করবো না “। এই বলে ইরা কান্না করে দেয় তখন ইরার মা তাকে জরিয়ে ধরে শান্ত করে। রাতে ইরা খাবার খেয়ে তিনটা বই আর ডায়েরি নিয়ে বসে সে ভাবে কোনটা আগে পরবে। তার পর সে বলে ” ডায়েরিটা ই আগে পড়া যাক, ডায়েরিতে তো অনেক অতীত গল্প থাকতে পারে “। তারপর সে ডায়েরিটা খুলে পড়তে শুরু করে সে প্রথম পেজ খুলে একটা নাম দেখে নামটা ছিলো ” Prince Eshan “। এই নামটা বলার সাথে সাথে ইরা অজ্ঞান হয়ে যায়। চোখ খোলার পর সে নিজেকে একটা গ্রামে দেখতে পায়। সে দেখে সে প্রাচীন সম্পর্কে যা জেনেছিলো ঠিক তেমনই এখানের মানুষের পোশাক, দোকানপাট, ঘোড়ার গাড়ি। ইরা ভাবে সে হয়তো স্বপ্ন দেখছে কারন সে এমন কয়েকবার দেখেছে। সে সামনে আগাতে থাকে সে দেখে সবাই তার দিকে কেমনভাবে যেনো তাকিয়ে আছে। সে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখে যে তার রাতের ঘুমানোর পোশাক গেঞ্জি আর পাজামা পরে আছে তাই মানুষ তার দিকে এমনভাবে তাকিয়ে আছে।তার সামনে একটা মেয়ে আসে বলে ” কে তুমি, আর কোথা থেকে এসেছো?? । তখন ইরা বলে ” আরেহ আমি স্বপ্নতে এখানে এসেছি। তখন মেয়েটি বলে ” এ নামে তো কোনো প্রাসাদ আর গ্রাম নেই “। তখন ইরা বলে ” আরেহ পাগল মেয়ে আমি ঘুমের মধ্যে স্বপ্নতে এখানে এসেছি বুঝেতে পারছো “।তখন মেয়েটি বলে ” তুমি কি কোনো খারাপ পানি খেয়েছো কি বলছো এসব আর এখানে তুমি ঘুমালে কখন “। ইরা তার কথা শুনে অবাক, সে মনে মনে ভাবে আমি কি টাইম ট্রেভেল করে এখানে এসেছি, না না এসব আবার হয় নাকি কিন্তু এই মেয়ে কি বলছে এসব এই মেয়েই মনে হয় পাগল। মেয়েটি বলে ” কি ভাবছো তুমি, বললেনা কোথা থেকে এসেছো!!। তখন ইরা তাকে জিজ্ঞেস করে এটা কত সাল মেয়ে টি বলে “এটা ১৮৯০ সাল “। এ কথা শুনে ইরা হতভম্ব হয়ে যায়, সাথে খুশিও হয় কারন তার ইচ্ছা ছিলো এমন সরাসরি প্রাচীন যুগ দেখবে। সে খুশিতে নাচতে থাকে। তখন মেয়েটি বলে ” কি করছো তুমি মানুষজন তোমাকে পাগল ভাববে, ” । তখন ইরা থামে এবং বুদ্ধি করে বলে ” আমি এ গ্রামের পাশের গ্রাম থেকে এসেছি, তুমি কি আমাকে তোমাদের গ্রামটা ঘুরে দেখাবে আমি তোমাদের গ্রামটা ঘুরে দেখতে চাই “।
তখন মেয়েটি বলে ” ঘুরাবো কিন্তু তার আগে তুমি তোমার পোশাক টা বদলে নেও এ গ্রামে এমন পোশাক পরা কেউ সু নজরে দেখে না “। তখন ইরা বলে ” আমি তো আমার কোনো কাপড়ই আনি নি তোমার কাছে আছে?? । তখন মেয়েটি বলে ” আচ্ছা চলো আমাদের ঠাইয়ের জায়গায় “। ইরা মেয়েটির সাথে যায়। মেয়েটি ইরাকে তার নিজের একটা পোশাক দেয়। তারপর ইরা ওই পোশাক টি পরে বাহিরে আসে মেয়েটিকে নিয়ে। তখন তাদের পাশ দিয়ে দুজন সেনাপতি ঘোড়ায় করে যাচ্ছিলো আর চেচিয়ে বলছিল ” রাজকুমার ইশান আসছে সবাই রাস্তার পাশে দাঁড়াও”। তখন ওই মেয়েটি আর ইরা রাস্তার পাশে দাঁড়ায়। ইরা বলে ” এই রাজকুমার ইশান কে?? । মেয়েটি বলে ” আরে তুমি তাকে চিনো না এ গ্রামের সবচেয়ে বড় রাজপ্রাসাদের রাজা রামগুপ্ত সেন এর একমাত্র পুত্র যে সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ রাজকুমার ইশান সেন “। ইরা বলে ” সবচেয়ে সুদর্শন কেনো সে কি কোনো হিরো নাকি “। তখন মেয়েটি বলে ” হিরো কি??। ইরা কিছু বলতে যাবে তখন রাজকুমার ইশান ঘোড়া দিয়ে যাচ্ছিলো। সকল মেয়েরা তার দিকে তাকিয়ে থাকে আর বলতে থাকে সুদর্শন রাজকুমার ইশান। সবাই তাকিয়ে থাকলেও ইরা একটু ও এসবে পাত্তা দেয় না। ইশান ও তার সেনাপতি রা যাওয়ার পর ইরা মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করে “আচ্ছা তোমার নাম কি??। তখন মেয়েটি বলে আমার নাম আয়েশা। আর তোমার নামটা?? । ইরা নাম বলতে যাবে তখন একটি ঘোড়ার গাড়ি এসে তার সামনে থামে। ঘোড়ার গাড়ি থেকে দুজন লোক নেমে এসে বলে ” রাজকন্যা মৃএিকা আপনি কোথায় চলে গিয়েছিলেন “।

মন্তব্য করুন