আমি কোনো পোষা পাখি নাকি?
যেমন শেখাবে বুলি
সেভাবেই ঠোঁট নেড়ে যাবো, অথবা প্রত্যহ
মনোরঞ্জনের গান ব্যাকুল আগ্রহে গেয়ে
অনুগত ভঙ্গিমায় অনুকূলে খেলাবো আকাশ,
আমি কোনো সে রকম পোষা পাখি নাকি?
আমার তেমন কিছু বাণিজ্যিক ঋণ নেই,
কিংবা সজ্ঞানে এ বাগানে নির্মোহ ভ্রমণে
কোনোদিন ভণিতা করিনি। নির্লোভ প্রার্থনা
শর্ত সাপেক্ষে কারো পক্ষপাত কখনো চাবো না।
তিনি, শুধু তিনি
নাড়ীর আত্মীয় এক সংগঠিত আর অসহায় কৃষকআছেন
ভেতরে থাকেন, যখন যেভাবে তিনি আমাকে বলেন
হয়ে যাই শর্তাহীন তেমন রাখাল বিনা বাক্য ব্যয়ে।
কাঙাল কৃষক তিনি, জীবনে প্রথম তাকে যখন বুঝেছি
স্বেচ্ছায় বিবেক আমি তার কাছে শর্তাহীন বন্ধক রেখেছি।
লিখেছেন
হেলাল হাফিজ একজন স্বল্পপ্রজ কবি। তার মাত্র দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে:
* যে জলে আগুন জ্বলে (১৯৮৬)
* কবিতা একাত্তর (২০১২)
তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ "যে জলে আগুন জ্বলে" প্রকাশের পরপরই তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এই কাব্যগ্রন্থে তার প্রেম, প্রকৃতি, দেশপ্রেম ও মানবতাবাদী চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
হেলাল হাফিজের কবিতায় এক ধরনের রহস্যময়তা ও আধ্যাত্মিকতা লক্ষ্য করা যায়। তার কবিতায় প্রায়ই প্রেম, প্রকৃতি, মৃত্যু, বিরহ, শোক ও বেদনার মতো বিষয়বস্তু উঠে আসে। তার কবিতায় ভাষার ব্যবহার অত্যন্ত সুষম ও সুন্দর।
হেলাল হাফিজ তার কাব্যপ্রতিভার জন্য বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
* নারায়ণগঞ্জ বৈশাখী মেলা উদযাপন কমিটির কবি সংবর্ধনা (১৯৮৫)
* যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৬)
* আবুল মনসুর আহমদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭)
* নেত্রকোনা সাহিত্য পরিষদের কবি খালেদদাদ চৌধুরী পুরস্কার ও সম্মাননা
* বাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০১৩)
হেলাল হাফিজ বাংলাদেশের একজন অন্যতম জনপ্রিয় কবি। তার কবিতা বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে।
হেলাল হাফিজের কবিতার কিছু উল্লেখযোগ্য পঙক্তি:
* "এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়,
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।"
* "আমি জানি না, তুমি কি জানো,
আমাদের এই জীবনের শেষে,
আমরা কেমন করবো?"
* "আমার হৃদয়ের মধ্যে একটা ঝর্ণা আছে,
সে ঝর্ণা সবসময় বয়ে চলেছে।"
* "আমি চাই না, তোমার জীবনে আসুক কোন শোক,
আমি চাই না, তোমার জীবনে আসুক কোন বেদনা।"
হেলাল হাফিজের কবিতা প্রজন্মের পর প্রজন্মের মানুষের হৃদয়ে অনুরণিত হয়ে চলেছে। তার কবিতা বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ।
হেলাল হাফিজ
হেলাল হাফিজ একজন বাংলাদেশী কবি। তিনি ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনা জেলার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।হেলাল হাফিজ একজন স্বল্পপ্রজ কবি। তার মাত্র দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে:
* যে জলে আগুন জ্বলে (১৯৮৬)
* কবিতা একাত্তর (২০১২)
তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ "যে জলে আগুন জ্বলে" প্রকাশের পরপরই তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এই কাব্যগ্রন্থে তার প্রেম, প্রকৃতি, দেশপ্রেম ও মানবতাবাদী চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
হেলাল হাফিজের কবিতায় এক ধরনের রহস্যময়তা ও আধ্যাত্মিকতা লক্ষ্য করা যায়। তার কবিতায় প্রায়ই প্রেম, প্রকৃতি, মৃত্যু, বিরহ, শোক ও বেদনার মতো বিষয়বস্তু উঠে আসে। তার কবিতায় ভাষার ব্যবহার অত্যন্ত সুষম ও সুন্দর।
হেলাল হাফিজ তার কাব্যপ্রতিভার জন্য বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
* নারায়ণগঞ্জ বৈশাখী মেলা উদযাপন কমিটির কবি সংবর্ধনা (১৯৮৫)
* যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৬)
* আবুল মনসুর আহমদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭)
* নেত্রকোনা সাহিত্য পরিষদের কবি খালেদদাদ চৌধুরী পুরস্কার ও সম্মাননা
* বাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০১৩)
হেলাল হাফিজ বাংলাদেশের একজন অন্যতম জনপ্রিয় কবি। তার কবিতা বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে।
হেলাল হাফিজের কবিতার কিছু উল্লেখযোগ্য পঙক্তি:
* "এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়,
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।"
* "আমি জানি না, তুমি কি জানো,
আমাদের এই জীবনের শেষে,
আমরা কেমন করবো?"
* "আমার হৃদয়ের মধ্যে একটা ঝর্ণা আছে,
সে ঝর্ণা সবসময় বয়ে চলেছে।"
* "আমি চাই না, তোমার জীবনে আসুক কোন শোক,
আমি চাই না, তোমার জীবনে আসুক কোন বেদনা।"
হেলাল হাফিজের কবিতা প্রজন্মের পর প্রজন্মের মানুষের হৃদয়ে অনুরণিত হয়ে চলেছে। তার কবিতা বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ।