গর্জমান সমুদ্রের পারে ভরাট পূর্ণিমা–
অসীমের দৃশ্য দেখি আমি আর সীমা।
পাশে দুই ছায়ামূর্তি – যুগপৎ ক্ষ্যাপা ও নিউটন
পরশ পাথর খোঁজে, নেড়ে দেখে অনির্ণেয় নুড়ির গঠন ।
তরল হাসিতে বড়ো ফেটে পড়ছে সমুদ্রের জল:
তিনভাগ সত্যেরও যেন দুইভাগ করেছে দখল
সেই দম্ভে ফুলে উঠে ছুঁতে চায় আকাশের চাঁদ–
আসলে দেখাতে চায় ব্যাপ্তি তার কতটা অগাধ।
কে এক সমুদ্রচারী পাখি তার ভেজাকণ্ঠে ডেকে বলে: এ্যাই,
চলো আজ ফিরে যাই, এ-দেখার শেষ কিছু নেই!
সীমা তার পা বাড়ালে চেয়ে দেখি ম্লান হচ্ছে ক্রমশ চন্দ্রিমা,
আমি তার নাম ভুলে তারস্বরে ডেকে উঠি: দাঁড়াও অসীমা…
কী আশ্চর্য চাঁদ নিজে চলে এলো আমার সাথে,
সঙ্গে দুই ছায়ামূর্তি ঘনঘন তাকায় পশ্চাতে ।
সমুদ্রকে ডেকে বলি: এ-রাতের জ্যোৎস্নাটুকু আমারই বেবাক;
তুই বেটা অহংকারী, অন্ধকারে হুমড়ি খেতে থাক।