তুমি চেয়েছিলে অভয়ারণ্য
কচিপাতা মুখে হরিণ শিশুর লাফ;
বারুদগন্ধী বাতাসের থেকে দূরে
একান্তে কোনো নিবিড় কুঞ্জে পাখিদের সংলাপ।
কিন্তু এখন চিতার দখলে শঙ্কিত বনভূমি;
দুরূহ লতার ছায়ার শরীরে জোছনাও ডোরা কাটে,
শত্রুসেনার ক্রলিঙয়ের ঢঙে অচেনা সরীসৃপ
অর্ধ-বিলীন হরিয়াল মুখে দর্পিত বুকে হাঁটে।
তুমি চেয়েছিলে নীলিম আকাশ,
স্বপ্নাবিষ্ট বালকের মত ওড়াবে ইচ্ছে-ঘুড়ি–
এখন সেখানে দাঁতাল পাখির ‘ভো-কাটা’ চিৎকার;
ধাতব ডিমের জালি পেটে নিয়ে নির্বাধ ওড়াওড়ি।