“আমি খুঁজি কোনো প্রকৃত কবিকে”
বলেছিলে কবে চিরকুটে লিখে
সেই থেকে আমি নিজে খুঁজে ফিরি প্রকৃত কবির সংজ্ঞা-
ঘেঁটেছি অনেক কাব্যবোধিনি
বাস্তবে বহু কবিকেও চিনি
ফসল না-হোক কবি ফলিয়েছে উর্বরা মাতা গঙ্গা!
নিজেও লিখেছি কম নয় – ঢের
ওজনেই হবে দশ-বারো সের:
আসলেই আমি প্রাচুর্যময়, চোখেই তোমার মঙ্গা!
ঠাকুর জানতো প্রেম জমে ভালো সমিল মাত্রাবৃত্তে;
চারিদিকে আজ গদ্যের ঝড়
কাব্যকলার বাড়ি পড়োপড়
তবুও তোমাকে দেখে কেন আজও দোলা লাগে এই চিত্তে?
যা বলে বলুক শত দুর্জনে
ভালোবাসা পেলে রবীন্দ্রায়ণে,
আমি হতে রাজি তীব্র প্রদাহ সমালোচকের পিত্তে ।
তুমি যদি চাও পাহাড় ডিঙাবো
প্রয়োজনে ঘোর পাতালেও যাবো
শঙ্খচূরের মণি এনে দেবো শুধুই তোমার জন্য-
হতে যদি বলো আউল-বাউল
চুড়ো করে তবে বেঁধে নেবো চুল
শিরে তুলে নেবো মুকুটের মতো আধুনিকতার দৈন্য!
কটুগন্ধের ‘ক্লেদজ কুসুম’
কেড়ে নিয়েছিলো কবিদের ঘুম-
তুমি যদি চাও পুত-সৌরভে ভেসে যাক মেকি পণ্য ।