‘গোলাপ গোলাপ’ ব’লে
বাগানে ঢুকেই দেখি শুধু কিছু পাপড়ি ছেঁড়া আমাদের কাজ ।
সমগ্রকে কোনোদিন ছুঁতেও পারি নাম,
খণ্ডাংশের মালিকানা নিয়ে শুধু শুধু হীন চতুরালি,
কোনোমতে ছলায়-কলায় দীনতার লজ্জা ঢাকা শুধু ।
অনঙ্গ দূরের কথা, বিছানার ফুল্ল নারী ইশারায় ডাকে
মিলন ও শৃঙ্গারে তাকে কতটুকু পাই?
হয়তোবা কাছে গিয়ে
প্রথমে চিবুক ছুঁই
তারপর হাত
বুকের যুগল চাঁদ
কপোলের তিল
খণ্ড খণ্ড করে দেখি
কখনো নিতম্বশোভা
অধরের বাঁক,
জলজ শিল্পের মতো নাকে-জমা ঘামের মহিমা ।
নারীর কাটাক্ষে থাকে যে মহান শিল্পের সুষমা
তাকেও কস্মিনকালে সবটা বুঝি না
তবুও গর্বিত চোখে অবাক তাকিয়ে থাকি,
‘সুন্দর সুন্দর’ ব’লে কখনো জাপটে ধরি;
জবরদখলকৃত ভূখণ্ডের মতো কনক জঘনে
ব্যক্তিগত পতাকা উড়িয়ে বলি: এ নারী আমার!
হয়তোবা আমরা নিজে এরকম মেধার দারিদ্র্যে
মূলতই অন্ধ তবুও সত্যের হাতি দেখি:
ছানিপড়া দৃষ্টিপথে আবছা-আবছা কেঁপে ওঠে চেনা নরলোক
অথচ সত্তায় দোলে এলোমেলো সুন্দরের বিমূর্ত প্রতিমা
যেন কোনো বিকেলের প্রসন্ন পুকুরে
জলের আর্শিতে ভাঙা সখিনার মুখ ।