আমারও মগজে ব’সে কদাকার চঞ্চু ঠোকে শতকের চিল
তবু কোনো অন্তর্গত বাঁচার আবেগে
আমি ঠিক সেরে উঠি দুর্ঘটনা-কবলিত পেশীর নিয়মে-
সেরে গেছে প্রমিথিউস,
বৃক্ষের বাড়ন্ত কোষ দিনে দিনে ঢেকে ফেলে তাবৎ খোড়ল।
যে-নারী যুদ্ধের কাছে তার প্রিয় পুরুষ হারালো
সেও ঠিক ফিরে গেছে অন্য কোনো নায়কের ঘরে;
জীবনের গতিধারা রুখতে পারে না কোনো দুর্যোগের ঢেউ:
হলুদের ছোপ-লাগা শীতের বাগানে
যুগপৎ পাতা ঝরে, গজায় মুকুল,
মৃতের করোটি ফুঁড়ে ফুটে ওঠে ভাগাড়ের ফুল।
নিরিবিলি ক্ষতস্থান চেটে
আহত হরিণ যায় চারণভূমিতে,
বারুদের গন্ধ শুঁকে সাহসী পাখির ঝাঁক ফিরে যায় বিলে-
আমিও তেমনি যেন কালের কয়েদী, গায়ে তবু জীবনের জামা,
স্বপ্নখেকো সময়ের বীভৎস থাবার পাশে
অবাক জ্বালিয়ে রাখি ব্যক্তিগত চাঁদের পূর্ণিমা।