কখনো নিবিষ্টমনে নোনাধরা দেয়ালে তাকালে
অথবা যখন দেখি শকুনেরা ডানা ঝাড়ে রক্তবর্ণ শিমুলের ডালে
তোমার চিত্রের চেয়ে বেশি দামী শিল্প চোখে পড়ে–
ছাঁটো এ রবীন্দ্র-দাড়ি, অযথা ভড়ং কেন ঝোলা আর মলিন খদ্দরে?
আসলে তোমার চেয়ে প্রকৃত বাউণ্ডুলে এই শরতের মেঘ
ভেতরে কান্নায় ভেজা, চেপে রেখে তবু তার সমূহ আবেগ
বাউল-স্বভাবে ঘোরে–এবং এই ঔদাসীন্য তাকে শোভা পায়:
নীলের ক্যানভাসে দেখি নিজেই চিত্রিত হয়ে
কী সহজে শিল্প হয়ে যায়!
তোমার ইজেলে কত রঙ ধরে জানি সেও হাঁড়ির খবর,
প্রকৃত জলের ছবি জলরঙে এঁকেছে কি কোনো চিত্রকর?
দেখেছি রোদেল দিনে মাঝেমাঝে গূঢ় কার তুলি
অনায়াসে এঁকে ফেলে অস্তরাগে বেজে-ওঠা রঙিন গোধূলি।
সোহেলীর ঠোঁট দেখে লিওনার্দো দ্যভিঞ্চিও হারাবেন দিশা,
হাসির বিশুদ্ধ কলা শিখে নেয় ওকে দেখে ব্যর্থ মোনালিসা!
খুঁটিতে ছাগল বেঁধে এইসব আঁকিবুকি ছাড়ো–
সাগ্রহে জীবন প’ড়ে আমি আঁকি শব্দচিত্র, তুমি কি তা পারো?