যাদের মাংসল পেশী ফুটে ওঠে সুলতানের নিবিড় তুলিতে
তাদেরই উত্তরসুরী আমি এই বিবর্তিত অধুনাপ্রজাতি
লোলচর্ম হয়ে আছি সময়ের কঠিন সংকটে।
দ্রাবিড়সম্ভূত কিছু তামার প্রতিমা
তাকতের লাবণ্য ঝরাতো ভোরের রোদের মতো;
নূব্জদেহে চলে-ফেরে যে আমার বৃদ্ধ পিতামহ
তাঁকেই ফসিল করে মাঝেমাঝে পাঠ করি
নৃতত্ত্বের নিগূঢ় রহস্যাবলি:
মুমূর্ষু গণ্ডার বলে মনে হয় তাঁকে
যে-তিনি পাতালগামী হবেন জেনেও
জীবনের পক্ষ নিয়ে এমন গোঙান
যেন সম্মিলিত ধ্বনি আসে চর-দখলের;
খোঁজেন বাসকপাতা, অশোকের ছাল,
কখনোবা বাঘমার্কা বাতের মালিশ!
অথচ আশ্চর্য তারই অধস্তন উত্তরাধিকারী
বাতের চেয়েও গূঢ় অলিখিত কী এক অসুখে
তেত্রিশেই জবুথবু বৃদ্ধ হয়ে আছি!