আমার কদর্য হাতে ছোঁবো না এ শুদ্ধতম ফুল–
এমন মুগ্ধতাবশে দূরে স’রে দেখি
ধরা দিলে যাকে সে তো প্রকৃতই দাঁতাল শুয়োর
তোমার সৌন্দর্য খুঁড়ে খোঁজে তার প্রিয় কন্দমূল।
‘ভালোবাসি’ এই শব্দে ঘোঁৎ ঘোঁৎ শব্দ শুনি আমি;
কিন্নরীর পিছে ঘোরে কার্তিকের কামার্ত কুকুর–
এসব জানালে তুমি শোনাবেই মুখস্ত সংলাপ:
“চিনি না আপনে কেডা, ও আমার বিবাহিত স্বামী!”
হায় স্বামী কলমা-পড়া, হে সমাজ, হায়রে বিবাহ!
বৃন্তচ্যুত কত ফুল ভালোবেসে নিথর ফুলদানি
সহজে বিকিয়ে যায় — কেউ কেউ নিপুণা পার্বতী;
পড়ে শুধু দেবদাস, একা কাঁদে চিতাগ্নির দাহ ।