কী করে বলবো ভুলে গেছি সব
সঞ্চয়ে আর স্মৃতির কণাও নাই–
এখনও তো এই ধূসর মগজে
বিচূর্ণিভূত স্বপ্নের ছাই ঝড় তোলে প্রতিদিন।
ভেবে খুব হাসি পায়:
নাগিনীর গ্রাসে অর্ধবিলীন ব্যাঙ যেন আমি কেউ
আর্দ্র করুণ অন্তিম ডাকে জীবনকে ভেংচাই।
মরণের আগে এমনি ক’দিন
বাঁকা হেসেছিলো অমলের বউ
গভীর নিশীথে ডাক দিতো যাকে কদমের ডাল–
দড়ি হাতে নিয়ে জোনাকির ভিড়ে
বিভোর দাঁড়িয়ে সাত-পাঁচ ভেবে
সম্বিতে ফিরে চমকে দেখতো আরেক সকাল!
ফেরাতো কে তাকে?
ঝিঁঝির কান্না নাকি জোনাকির প্রদীপ্ত আহ্বান:
হয়তোবা শত গঞ্জনাতেও পেয়েছিলো কিছু সুখ,
বিড়ালীর মতো চুক চুক ক’রে
চেখেছিলো সেও স্বামীর সোহাগ–
হয়তো দেখেছে সিনেমা-নাটকে,
পড়েছে গল্পে-উপন্যাসেও
মরণার্থীকে ফিরিয়ে এনেছে প্রাপ্তির দায়ভাগ।