এলিয়টকে চৌদ্দপঙক্তি

দ্রুতই নিষ্পত্তি হতো, কথা ছিলো বাঁধবে না গোল;
কালের প্রকৃতিবিদও মোটামুটি মেনে নিয়েছিলো
ক্রমশ ধূসর রঙে ছেয়ে যাবে বেবাক ভূগোল
কিন্তু ক’টি পাখি শুধু প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিলো।

বস্তুত স্বভাববশে পাখিরাই কথা বলে ফেলে;
বারুদের স্তূপে ব’সে বেলেহাজ পুচ্ছ নাচাবেই
এবং এই রাষ্ট্রতন্ত্রে কলস্বরা পাখিদের জেলে
পাঠাবারও কোনোরূপ বন্দোবস্ত আপাতত নেই।

বিহঙ্গ মানেই বুঝি ওড়াওড়ি নিবিড় হাওয়ায়
অথবা নিকুঞ্জে বসে গেয়ে-চলা স্বাধীন সঙ্গীত
অথচ তোমার দ্বীপে যতদূর দৃষ্টি দেয়া যায়
হলুদাভা চোখ ঠারে, কেঁপে ওঠে সবুজের ভিত।

হয়তো কালের পোকা কুরে-কুরে সবকিছু খাবে–
কোনো কোনো পাখি তবু সবুজের পক্ষে থেকে যাবে।

কবিতাটি কাব্যসংসার বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে।

মন্তব্য করুন