দেখে নিয়ো এই মাতাল তরণি
হারাবে না কোনো অপকুয়াশার ঘোরে:
অবচেতনের গহীনেও দেখি প্রোজ্জ্বল বাতিঘর!
ঘূর্ণির মহাসমুদ্রে ঘুরে-ঘুরে
অবশেষে ঠিকই পেয়ে যাবে বন্দর।
বাঁধা বৃত্তের পরিধি পেরোয় কেন্দ্রাপসারী ঘোড়া
অসম্ভবের দড়ি ছেঁড়ে তবু সরল রেখায় ছোটে,
এলোমেলো কিছু ডিগবাজি আর দুলকির নামও চাল;
আপাত বেতাল ভাঁড়ের তামাশা অর্থের পায়ে লোটে।
কালোয়াত, তুমি কতদূর যাবে কেন্দ্র তোমাকে টানে!
বৃত্তাবদ্ধ জীবনের কিছু হলো কি সম্প্রসার?
প্রবীণ ব্যাঙমা ছানি-পড়া চোখে বিস্ময়ে চেয়ে দেখে:
নবীন পাখিরা চিরায়ত খড়ে গড়ে আজও সংসার।